বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:০৫ অপরাহ্ন
সকালের বার্তাঃ-টাঙ্গাইল সদর থানার চাঞ্চল্যকর ফুলচাঁন (২৪) হত্যা মামলার সন্দিগ্ধ আসামী মোঃ আজিজুল হক (২২)’কে মামলা দায়েরের ৭২ (বাহাত্তর) ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৪, সিপিসি-৩, টাঙ্গাইল ক্যাম্প
মামলার বাদী মোঃ সন্দেশ মন্ডল এজাহারে উল্লেখ করেন যে, তার ছোট ছেলে মোঃ ফুলচাঁন (২৪) টাঙ্গাইল শহর এলাকার বিভিন্ন জায়গায় রাজমিস্ত্রী কাজ করে। গত ২৪ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে রূপচান (৩৮), পিতা- মৃত ফরজ মেম্বার বাড়ীতে চুরির ঘটনা ঘটলে উক্ত চুরির বিষয়ে তার ছোট ভাই মোঃ মহর আলী (৫৫) রূপচানের কাছে বলে যে, তার বাড়ীর পাশে মাঠে সন্দেহজনকভাবে মোঃ আজিজুল হক (২২) ও মোঃ সৌরভ (২৩) সহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জনকে ঐদিন রাতে ঘোরাফেরা করতে দেখে। উক্ত ঘটনার জেরে বাদীর ভাই মহর আলীকে ২৫ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখ রাত অনুমান ০৭:৩৫ ঘটিকার দিকে তার বাড়ী হতে ডেকে এনে হাজীবাড়ীর খেলার মাঠে মোঃ আজিজুল হক (২২) ও মোঃ সৌরভ (২৩) মিলে বাদীর ভাইকে মারধর করে। এরই প্রেক্ষিতে বাদীর ছেলে মোঃ ফুলচাঁন (২৪) তাদেরকে বাঁধা প্রদান করলে তারা আমার ছেলে ফুলচাঁনকে পরবর্তীতে সময় সুযোগমত পাইলে দেখে নেবে বলিয়া হুমকি প্রদান করে। এমতাবস্থায়, ৩০ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ০৬:১০ ঘটিকার দিকে বাদীর ছেলে ফুলচাঁন বাড়ী হইতে হাজী মার্কেটের উদ্দেশ্যে রওনা হলে টাঙ্গাইল সদর থানাধীন ছোট বিন্যাফৈর পূর্বপাড়া সাকিনস্থ জনৈক আশরাফ আলীর বাড়ীর সামনে টাঙ্গাইল টু দাইন্যা ইউনিয়ন পরিষদ গামী পাকা রাস্তার উপর পৌছাইলে অজ্ঞাতনামা আসামী/আসামীরা বাদীর ছেলে ফুলচাঁন (২৪) কে ধারালো অস্ত্র দ্বারা এলোপাথারী কোপাইয়া শ্বাসনালী কাটিয়া ঘটনাস্থলেই মৃত্যু নিশ্চিত করে।
ভিকটিম ফুলচান (২৪) হত্যার ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচারিত হলে দেশব্যাপী ব্যপক চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়। উক্ত মামলার ঘটনার রহস্য উদঘাটন ও প্রকৃত আসামীদের ধরতে র্যাব-১৪, সিপিসি-৩, টাঙ্গাইল ক্যাম্প ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।
র্যাব-১৪, সিপিসি-৩, টাঙ্গাইল ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ খ্রি. তারিখ রাত ০৯.১৫ ঘটিকায় টাঙ্গাইল সদর থানাধীন পৌর উদ্যান এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে হত্যা মামলার এজাহারে সন্দিগ্ধ ১নং আসামী মোঃ আজিজুল হক (২২) গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
এ ঘটনায় টাঙ্গাইল জেলার টাঙ্গাইল সদর থানায় আসামী হস্তান্তর করা হয়েছে।
Leave a Reply