বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১০:১৬ পূর্বাহ্ন
সকালের বার্তাঃ- “সোনিয়া ফাউন্ডেশন” এর সোনিয়া অষ্ট্রলিয়া পাঠানোর কথা বলে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে প্রতারণা করে আসছে, ভুক্তোভোগীরা টাকা চাইতে গেলে উল্টো তাদের বিরুদ্ধে ধষর্ণ চাদাঁবাজী সহ অন্যন্ন মামলা দিয়ে হয়রানী করার প্রতিবাদে ১৮ মার্চ টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে।
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তোভোগী সাজুর ভাই মো.সুমন, তিনি বলেন আজ থেকে প্রায় ৫ বছর পূর্বে “সোনিয়া ফাউন্ডেশন” এর সোনিয়ার সাথে আমার ভাইয়ের পরিচয় হয়। এক পর্যায় আমার ভাইকে সোনিয়া ভাই বানিয়ে আমাদের বাড়ীতে কয়েক দফা যাতায়াত করে আমার বাবাকে বাবা বানিয়ে বলে আপনার ছেলেকে আমি ভাই বানিয়েছি,আমি ওকে অষ্ট্রলিয়া পাঠিয়ে দেই। আমার বাবা ও ছোট ভাই ওর কথা বিশ^াস করে আমাদের বলে,ভাই সোনিয়া আপু আমাকে অষ্ট্রিলিয়া পাঠাতে চাই তোমরা কি বলো, আমরাও ছোট ভাইয়ের পিড়াপিড়িতে রাজি হয়ে যাই,তখন সোনিয়ার সাথে আমাদের বাড়ীতে আমরা কথা বলি ওর গেটাব দেখে আমাদের সন্দেহ হলেও তখন ধরে নেই সোনিয়া যেহেতু অষ্ট্রিলিয়া থাকে ওখান কার গেটাব এমনই তাই পুরুষের গেটাব নিয়ে চলাচল করছে।
আর তেমন কোন যাছাই বাছাই না করে কয়েক দফায় ১৭ লক্ষ ২০ হাজার ১ শত পনের টাকা আমার দেই,টাকা নেওয়ার পর আজ না কাল এভাবে চলে যায় বছর দেড়েক,এরই মধ্যে ভ‚য়া কিছু কাগজ পত্র আমাদের দিয়ে বলে এইতো হয়ে যাবে আর কয়েকটা দিন অপেক্ষা করেন। এভাবে যখন আরো কয়েক বছর কেটে গেলো তখন আর বুঝতে বাকী রইল না যে আমরা প্রতারকের ক্ষপড়ে পরে গেছি।
আমরা সোনিয়ার ক্ষপড় থেকে উদ্ধার হওয়ার জন্য সোনিয়াকে বলি আমাদের টাকা গুলো ফেরত দেন,কিন্তু সোনিয়া ফেরত না দিয়ে তালবাহানা করতে থাকে,কোন কুল কিনারা না পেয়ে আমারা মহামান্য আদালতে স্বারাপন্য হই এবং একটি মামলা দায়ের করি যাহার নাম্বার ১৩৪৪/২০২৪ মোকাম বিজ্ঞ জুডিঃ ম্যাজিঃ সদর থানা আমলী আদালত,টাঙ্গাইল।আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য পিবিআই কে নির্দেশ দেন। পিবিআই তদন্ত করে ঘটনা সত্যতা পেয়ে মহামাণ্য আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। আমার মামলা করছি এই সংবাদ সোনিয়া শুনে তাৎক্ষনিক আমাদের বিরুদ্ধে মোকাম বিজ্ঞ জুডিঃ ম্যাজিঃ সদর থানা আমলী আদালত,টাঙ্গাইল বরাবর ২০ লক্ষ টাকা চাঁদাবাজীর একটি মামলা দায়ের করে যাহার নং ১৪৩৭/২০২৪ এই মামলাটি পিবিআই তদন্ত করে কোন সতত্য না পেয়ে আদালতে প্রতিবেদন দিলে আদালত মামলাটি খারিজ করে দেন।এবং আমাদের দায়ের কৃত মামলাটিতে মাহামান্য আদালত সোনিয়ার বিরুদ্ধে প্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। যাহার স্বারক নং ৫৭৪ তারিখ ২৯/১/২০২৫ মির্জাপুর থানা।
আমার ছোট ভাইকে সোনিয়ার ভাগ্নী জান্নাত আক্তারকে দিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা ও অপহরণ একটি মামলা দেলদুয়ার থানায় করেন, তাৎক্ষনিক দেলদুয়ার থানা পুলিশ আমার ছোট ভাইকে ১৪ র্মাচ শেষ রাতে সেহেরী খাওয়ার সময় গ্রেফতার করে নিয়ে যায়, আমরা সকালে দেলদুয়ার থানায় গেলে ওসি সাহেব মামলা সমন্ধে জানতে চাইলে তিনি বলেন ধর্ষণের চেষ্টা ও অপহরণ করার অপরাধে জান্নাত আক্তার নামের এক মেয়ে অভিযোগ দেওয়ায় আমরা গ্রেফতার করছি। আমরা যখন পুরো ঘটনাটি পুলিশকে বল্লাম তখন পুলিশ বুঝতে পারলেও আমার ছোট ভাইকে ছেড়ে না দিয়ে আদালতে প্রেরণ করেন।
সোনিয়া আমার ভাইয়ের জীবন ধংস করে দিয়েছে,শুধু আমার ভাইকেই নয় আরো ১৫/২০ মানুষের জীবন ধংস করে দিয়ে আজ অবলিলায় সকলের সামনে ঘুরে বেড়াচ্ছে,ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার গুলো আজকে রাস্তায় বসে পড়ছে কেউ রিক্সা চালায় কেউ গরু পালছে,কেউ খেতে খামারে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছে,আমাদের কাছে অসংখ্যা পরিবার জানিয়েছে এই সোনিয়া একটি মাফিয়া চক্রের সদস্য,ইন্টারন্যাশনাল হ্যাকাট টিমের সদস্য,অসহায় পরিবার গুলোকে নিয়ে যখন সাংবাদিকরা লেখালেখি করছে সোনিয়ার বিরুদ্ধে তখন হ্যাকারদের দিয়ে এই সোনিয়া সকল ভিডিও নিউজ সড়িয়ে দিচ্ছে। মাফিয়া চক্রের সদস্য সোনিয়াকে নিয়ে যদি আপনারা তৎপর না হন তাহলে আমাদের মত অসংখ্যা মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
সংবাদ সম্মলনে ভুক্তভোগী পরিবারে আরো কয়েকজন সদস্য উপস্থিত ছিলেন,তার মধ্যে করটিয়ার রোজিনা বেগম ও রুবেল আক্তার বাবু তাদের কাছ থেকেও ১৯ লক্ষ টাকা নিয়ে উল্টো তাদের বিরুদ্ধে মামলা হুমকী সহ নানা ধরনের কথাবার্তা বলে বেড়াচ্ছে। এই সোনিয়া আরো অনেক মানুষের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা অষ্ট্রলিয়ার কথা বলে হাতিয়ে নিচ্ছে। এখনই যদি সোনিয়াকে গ্রেফতার করা না হয় তাহলে এ সমাজে আরো নিরহ মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হবে।
Leave a Reply