সকালের বার্তাঃ-
টাঙ্গাইল জেলার দেলদুয়ার ও নাগরপুর উপজেলায় সংযোগস্থল এলাসিনে ধলেশ্বরী নদীর উপর সামছুল হক সেতুটি ৯৪ কোটি ৪৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ৫১৫.১২ মিটার দীর্ঘ ও ১০.২৫ মিটার প্রস্থের সেতুটি সড়ক ও জনপদ ( সওজ) নির্মাণ করে।
টাঙ্গাইল জেলার দুই উপজেলায় প্রায় ৪,৭৬,৫৪১ লাখ মানুষ এ সেতু দিয়ে পারাপার হয়ে থাকে।
স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক সেতুটি উদ্বোধনের পর থেকেই সরকারি রাজস্ব আদায়ের নামে নেওয়া হত অতিরিক্ত টোল করা হতো। ফলে ভোগান্তির শিকার হতো নাগরপুর-দেলদুয়ার জনসাধারণ যানবাহনের চালকেরা।
তবে ৫ ই আগস্ট স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর (৮ই আগস্ট’২৪) নাগরপুরের ছাত্রসমাজ এই টোল নেওয়া বন্ধ করে দেয়।
তার কিছু দিন পর থেকেই আবার শুরু হয় টোল এর কার্যক্রম। তবে, অাগের সেই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এস,এম, জাহাঙ্গীর এন্টারপ্রাইজই টোল আদায়ের জন্য আওয়ামী লীগের এমপি ছোট মনিরের লোকজনই মির্জা মনিরের সহচর সাগর গং বৃন্দই ও স্বৈরাচারের সাবেক এমপি টিটু লোকজনই এই টোল আদায়ের কাজে নিয়োজিত রেখেছে। যাঁর ফলে উপস্থিত বিএনপি, জামায়াত, ২৪শের গণ-অভ্যুত্থানের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত ও সমর্থিত যারা রয়েছেন তাদের সাথে টোল আদায়ের এসকল আ’লীগ দোষরা সুযোগ বুঝে খারাপ আচরণ করার জন্য ঘাপটি মেরে বসে থাকে এবং এদের সাথে নানান কৌশলে বিবাদে জড়ায়।
টোল আদায়ের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি প্রায় প্রতি রাতেই টোল আদায়ের স্থলে সাবেক স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের দোষরদের টোল আদায়ের অর্থ দিয়ে সু-সংগঠিত রাখতে দেখা যায়, নানা অযুহাতে বলে জানান স্থানীয়রা। কখনো রাতে তারা খিচুড়ি আয়োজন করে অথবা, মাদক সেবী পার্টির অায়োজন, গান-বাজনা কোন সংগঠন ও দলকে অর্থিক সহযোগিতাসহ নানা ভাবে তারা লীগের সন্ত্রাসীরা সংগঠিত বা টিকে থাকার চেষ্টা করছে বা করাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
নাগরপুরের জনসাধারণের দাবি ছিলো টোল মুক্ত শামসুল হক সেতু। স্বচ্ছতা নির্ভর জবাবদিহি মূলক রাজস্ব আদায় নিশ্চিত করতে নাগরপুরের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র প্রতিনিধিগনের উপস্থিতিতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের নিকট টোল বন্ধের দাবিতে স্বারক লিপি প্রদান করেছিলেন। কিন্তু টোল অাদায় বন্ধ হয় নি! তবে স্থানীয়রা বলছেন যে, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের কিছু নীতি বর্জিত ছাত্রদের নিয়ে এবং পা-চাটা বিএনপি স্থানীয় কিছু নেতাদের কেউ কেউ জড়িত থাকতে পারে বলে জানান। স্থানীয় জনসাধারণ ও সাংবাদিকরা এই ব্রীজটির টোল থেকে চিরতরে মুক্তি চান।
টাঙ্গাইল সড়ক ও জনপথ বিভাগ চাকুরীর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যাক্তি জানান, এস, এম, জাহাঙ্গীর এন্টারপ্রাইজের প্রতি অফিসটির বেশ কিছু লোকজনের ভালোবাসা রয়েছে, তাই হয়তো তারা এখনো ওখানে রয়েছেন বা ভবিষ্যতে থাকতে পারে।
টাঙ্গাইল সওজ ও সড়ক উপ-বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ জাহিদুল ইসলাম জানান, নাগরপুর শামসুল হক ব্রীজের টোল আদায়ের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এস, এম, জাহাঙ্গীর এন্টারপ্রাইজ। ২০২৬ সাল পর্যন্ত তাদের কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে জানান তিনি।
এর আগে সড়ক ও জনপথ টাঙ্গাইল কার্যালয়ের
নির্বাহী প্রকৌশলী ড. সিনথিয়া আজমিরী খান সাংবাদিকদের এক ফোন আলাপে কোন সদুত্তর দেন নি।
স্থানীয় ব্রীজটির সুবিধাভোগীরা প্রশাসনের উর্ধ্বতনদের দৃষ্টি আকর্ষনের অনুরোধ জানিয়েছেন।
Leave a Reply