বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:০৯ অপরাহ্ন
সকালের বার্তাঃ-
অপহরনের ৭ ঘন্টার মধ্যে পুলিশের সহায়তা উদ্ধার পেলেন টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার উদ্যমপুর গ্রামের ৩৭ বয়সী আসলাম হোসেন।
টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন আসলাম হোসেন এখন সুস্থতার পথে। গত বুধবার ১২ মার্চ সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় টাঙ্গাইলের রাবনা বাইপাসে বগুড়ায় প্রাইভেট কোম্পানীতে চাকরিতে ফেরার পথে বগুড়াগামী গাড়ির জন্য দাঁড়িয়ে ছিলেন আসলাম।
আসলামের বিবরণে জানা যায়, হঠাৎ করে তার সামনে একটি সাদা মাইক্রোবাস এসে দাঁড়ায়। মাইক্রোবাস থেকে কয়েকজন সাদা পোষাকপড়া মানুষ র্যাব পরিচয় দিয়ে আমাকে দ্রুত গাড়ীতে তুলে নিয়ে মুখে কালো কাপড় বেঁেধ নিয়ে যায়। তারা আমাকে চলন্ত মাইক্রোবাসে জিজ্ঞাসাবাদে ২ লক্ষ টাকা দাবী করে।
আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আমার ভাই কলেজ ছাত্র সজিব হোসেনের মোবাইল নাম্বারে ফোন করে।
আসলাম হোসেনের ভাই সজিব হোসেনের সাথে কথা বলে জানা যায়, অপহরনকারী আমাকে ফোন করে আমার ভাইকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে ২ লক্ষ টাকা দাবী করে বিকাশ নম্বর দেয়। পরে আমি টাঙ্গাইল সদরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তানভীর আহমেদকে এই বিষয়ে জানাই। তানভীর আহমেদ আমাকে বিকাশে আগেই টাকা দিতে বারন করে। ওসি তানভীর আহমেদ তৎপরতার সাথে ওই বিকাশে নম্বরে ফোন করে টাকা দেওয়ার কথা বলে অপহরনকারীরা কোথায় আছে সেটা ট্র্যাক করে। অপহরনকারীরা ওসি সাহেবকে সিরাজগঞ্জ আছে বলে মিথ্যা বললেও তারা আসলে ট্র্যাকে ধরা পড়ে মির্জাপুরের গোহাটিতে আছে। ওসি সাহেব মির্জাপুর থানায় ফোন এবং অপহরনকারীদের মির্জাপুরের পুলিশ বাহিনী বুধবার রাত ১২টার দিকে অপহরনকারীদের গাড়ী ঘেরাও করলে অপহরনকারীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ভুক্তভোগী আসলাম হোসেন গাড়ী থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে তারা পালিয়ে যায়।
অপহরনকারীরা আসলাম হোসেনকে হাতুড়ি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে পিটিয়ে জখম করে তার সঙ্গে থাকা এনড্রয়েভ মোবাইল, ডেবিট কার্ড থেকে ৬৫০০০ টাকা এবং নগদ ৩০০০ টাকাসহ ব্যাগ নিয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল সদর থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। র্যাব অফিস সাথে কথা জানা গেছে র্যাব অপহরনকারীদের সনাক্ত করে ধরার চেষ্টা করছেন।
Leave a Reply